১২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সুমাইয়া বাবা-মায়ের খোঁজ চান

বাবা ও মায়ের নাম ছাড়া কিছুই জানে না সুমাইয়া আক্তার সুরাইয়া। এর বাইরে নিজ জেলার নাম শরীয়তপুর বলতে পারে। ২০০৬ সালে ঢাকার মিরপুর থেকে হারিয়ে যাওয়া সুমাইয়া আক্তার সুরাইয়া তার বাবা-মায়ের খোঁজে শরীয়তপুর পালং মডেল থানায় এসে সবার সহযোগিতা চাইছেন। এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ একটা সাধারণ ডায়েরি (জিবি) নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
পালং মডেল থানা ও সুরাইয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১২ বছর আগে ২০০৬ সালে রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকা থেকে হারিয়ে যায় তিনি। তখন সুরাইয়া আক্তার সুমাইয়ার বয়স ছিল ৬ বছর। তিনি মিরপুরের সীদ্ধান্ত নামের একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে লেখা পড়া করতেন। বর্তমানে সুরাইয়া ১৮-তে পা দিয়েছেন। সেই থেকে বাবা-মা, ভাই-বোন ও পরিবারকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সুমাইয়া। সুমাইয়ার বাবার নাম সুলাইমান মিয়া ও মা জুলেখা বেগম। বাবা মিরপুর-১ এলাকায় ডেকোরেটরের ব্যবসা করতেন। সুমাইয়া ছয় ভাই-বোনের মধ্যে চতুর্থ। বড় বোন সুমী তখন (কলেজে পড়ত) পর্যায়ক্রমে ভাই জুয়েল, বোন সোনিয়া, সুমাইয়া আক্তার সুরাইয়া (হারিয়ে যাওয়া মেয়েটি) বোন স্মৃতি ও ভাই ফাহিম।
হারিয়ে যাওয়ার পর সদর ঘাট থেকে বরিশালের লঞ্চে মুলাদি যান সুমাইয়া। মুলাদী লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার তাকে মুলাদী থানায় নিয়ে জিডি করেন। হিজলার পত্তনিভাঙ্গা (ভুয়া বাড়িয়া) এলাকার দেলোয়ার হোসেন (বাদশা হাজারী) সুমাইয়া আক্তার সুরাইয়াকে থানা থেকে জিম্মায় নেন। সেই থেকে মেয়েটি বাদশা হাজারীর বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। এর মধ্যে একাধিকবার পালিয়ে শরীয়তপুরে আশার চেষ্টা করে সুমাইয়া ব্যর্থ হন। তিনি তার বাবার মুখে শুনেছে তার জন্ম শরীয়তপুর জেলায়। তাই শরীয়তপুরের পালং মডেল থানায় এসে বাবা-মার খোঁজ চান তিনি। এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ একটা জিডি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, মেয়েটি গত শুক্রবার রাতে থানায় আসে। মেয়েটি শুধু তার বাবা-মার নাম বলতে পারে। কোনো ঠিকানা বলতে পারে না। মেয়েটির কথা মতো জিডি নেওয়া হয়েছে। মেয়েটির বাবা-মার খোঁজ পেলে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।