বিপৎসীমার ওপরে ধরলার পানি, পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার শতাধিক গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ।
urgentPhoto
বন্যায় তলিয়ে গেছে ৩০ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষেত। বন্যাকবলিত এলাকার ঘর-বাড়ি ও সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুবেদ আলী জানান, গতকাল শুক্রবার বন্যার পানি বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। পানি ক্রমাগত বাড়ছে। এ অবস্থায় ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানের সন্ধানে চলে যেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে গত রাতে রাজারহাট উপজেলায় পানিতে ডুবে সাদিয়া (৪) নামের এক শিশু ও সাপের কামড়ে শাহিন (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৫১ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৩১৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।