বাগেরহাট বিদ্যুতের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ
বাগেরহাট বিদ্যুৎ কার্যালয়ের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ও কর্মকর্তাদের যোগসাজসে লাখ লাখ টাকার বিদ্যুতের খুঁটি ও মালামাল অবৈধভাবে গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। নেতারা অফিস উন্নয়নের নামে মালামাল নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করছে।
গতকাল রোববার রাতে মাত্র ১০ হাজার টাকায় চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি বিক্রি কালে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় তা বন্ধ হয়। প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব।
বাগেরহাট বিদ্যুৎ কার্যালয়ের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল হক জানান, রোববার রাতে নাগেরবাজার এলাকায় সাবেক মহিলা কমিশনার স্বপ্না আক্তারের বাসার পাশ থেকে চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের সহায়তায় জাহাঙ্গীর, জব্বার, রফিক, কামালের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক উত্তোলন করা শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানতে পারে বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মচারীরা গোপনে ওই খুঁটিগুলো ইউনিয়ন কার্যালয়ের উন্নয়নের নামের নামমাত্র মূল্য দেখিয়ে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার চক্রান্ত করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ওই কর্মচারীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যুৎ কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাগেরহাটের গোবরদিয়া, দশানী, সোনাতলা, হাড়িখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় মালামাল, খুঁটি ওই চক্রটি বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছে।
অপরদিকে ঝড়, বৃষ্টিসহ বিভিন্ন সময়ে বাগেরহাট পৌরসভায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের মালামালের অভাবে ও ধারণ ক্ষমতা না থাকায় বেশির ভাগ সময়ে বিদ্যুৎবিহীনভাবে রাখতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জব্বার ও রফিকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, তাঁরা শ্রমিক মাত্র। কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করেন। ইউনিয়নের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ কর্মকর্তারা যা নির্দেশ দেন তাই পালন করেন মাত্র।
তবে সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ অন্য কাউকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।