জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দাবি করেছেন, তাঁর শাসনামলে দেশে একজন মানুষকেও হত্যা করা হয়নি। তাঁর হাতে কোনো রক্তের দাগ নেই। সাবেক এই সামরিক শাসক আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টির শাসনকাল জনগণ এখনো ভুলেনি। আমার সময়ে একটিও বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়নি। আমি কোনো এলিট ফোর্স গঠন করিনি।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে বরগুনা জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এ সব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা হলো আমার ভোটের অধিকার, আমার কথা বলার অধিকার, লেখার অধিকার, বাঁচার অধিকার। আজ বাঁচার অধিকার আমাদের নেই। কেউ বলতে পারবে না, আগামীকাল কার জীবন থাকবে, কার জীবন থাকবে না।’ 

‘খবরের কাগজকে বলা হয়, এটা লেখা যাবে না। আমরা এটা করি নাই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতাম। বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতাম। কোনোদিন কোনো পত্রিকাকে বলি নাই যে, এই খবর লেখা যাবে না।’ 

এরশাদ নিজেকে একজন জননন্দিত সরকারপ্রধান দাবি করে বলেন, ‘আমরা জননন্দিত সরকার ছিলাম। আমার মন উদার। ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়েছি।’

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান শাহ, সুনীল শুভ রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, গোলাম কিবরিয়া টিপু,বরগুনা জেলার আহ্বায়ক শাহাজাহান মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে জাফরুল হাসান ফরহাদকে আহ্বায়ক করে বরগুনা জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।