‘প্রেমের বিয়ে’র ১০ বছর পর স্ত্রীকে হত্যা!
মনি আক্তারকে (২৮) ১০ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জসিম বেপারী (৩৪)। ১০ বছর পর অভিযোগ উঠেছে, নিজের স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন জসিম।
আজ শুক্রবার সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বাঁশতলা গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে পুলিশ মনি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ করছে, জসিম বেপারীই মনিকে হত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক আছেন।
নড়িয়া উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের জসিম বেপারীর সঙ্গে একই উপজেলার সোনারবাজার গ্রামের ইয়ারবক্স সরদারের মেয়ে মনি আক্তারের বিয়ে হয় প্রায় ১০ বছর আগে। তাঁদের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। পদ্মার ভাঙনে জসিম বেপারীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে গত এক বছর ধরে তাঁরা উপজেলার বাঁশতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনি আক্তারের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন নিহতের বড় বোন মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার মুরব্বিরা মীমাংসা করে দিয়েছেন। জসিম আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীর বিচার চাই।’
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মনি আক্তার ও জসিম বেপারীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাতে ছেলেরা ঘুমিয়ে পরলে মনির হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান জসিম। সকালে ছেলেরা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে মায়ের লাশ পরে থাকতে দেখে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।