বাঁচতে চায় ক্যানসার আক্রান্ত স্কুলছাত্র আবিদ
‘মা আমাকে সবাই দেখতে আসছে কেন? খুব আদরও করছে। আমার কী হয়েছে মা? আমার কি ক্যানসার হয়েছে?’ বাসায় আত্মীয়স্বজনের হঠাৎ আনাগোনা দেখে মাকে এ রকম প্রশ্নই করছে ঢাকার মাতুয়াইলের রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আশহাব আবিদ (১৬)।
পরিবারের কেউ এখনো আশহাবকে বলেনি ব্রেন টিউমারের সঙ্গে ক্যানসারও বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট আবিদ না জানলেও অনুভব করতে পারছে তার বড় কিছু হয়েছে। তার বিশ্বাস বড় ভাই জায়েদ সঙ্গে থাকলে ভালো হয়ে যাবে সে। যখন মাথাব্যথা, বমি শুরু হয় শুধু তখনই সব এলোমেলো হয়ে যায়, বাঁচার তাগিদ অনুভব করে আবিদ।
আবিদের বাবা এম এ কুদ্দুস রাজু কোনাপাড়া এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের কলেজপাড়ায়। কোনাপাড়ায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার ও ছেলেদের লেখাপড়া চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। তার ওপর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আবিদ। শিশু আবিদ বর্তমানে ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মইনুল হক সরকার এবং পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কাজী মনজুর কাদেরের অধীনে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবিদ ‘ম্যালিগনেন্ট স্মল রাউন্ড সেল টিউমারে’ আক্রান্ত। টিউমারটি ক্যানসারে রূপ নিয়ে কপালের হাড় ক্ষয় করে সামনের দিকে বের হয়ে আসছে। তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হবে। ভারতে নেওয়ার জন্য বলেছেন চিকিৎসকরা। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তার বাবার পক্ষে এই পরিমাণ টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তিনি সহায়-সম্পদ বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন আর পেরে উঠছেন না। সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করছেন তিনি। বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তা পেলে দ্রুত আবিদের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে। আর ব্যয়বহুল চিকিৎসা সম্ভব হলে বাঁচতে পারে সে, ফিরে যেতে পারে প্রিয় শ্রেণিকক্ষে, শিক্ষক আর বন্ধুদের মাঝে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : আবদুল হালিম মোল্লা, ১৪, মিরপুর রোড, নিউমার্কেট, ঢাকা-১২০৫। সঞ্চয়ী হিসাব নং : ২০১.১৫০.৩৪৩২, ঢাকা ব্যাংক, লোকাল অফিস শাখা, মতিঝিল, ঢাকা। মোবাইল নং : ০১৬১৪-০৯০১৯৭।