হিন্দু বাড়ি দখলে নিলে ছাড় নেই : আশরাফ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা-জমি, বাড়ি দখলের কাজে লিপ্ত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজধানীর পলাশী মোড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার আগে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সৈয়দ আশরাফ। মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
urgentPhoto
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে এখানে এসে কিছু বিষয় নিয়ে আমি ব্যথিত হয়েছি। বাংলাদেশের কোনো কোনো স্থানে হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করা হয়েছে। এটা কিন্তু এই স্বাধীন বাংলাদেশে চলতে দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যারা এই কাজে নিপ্ত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মীয় বিভাজন করে লুটপাট করবেন, বাড়ি দখল করবেন, সম্পত্তি দখল করবেন, এটা শেখ হাসিনার রাজনীতি নয়।’
‘শেখ হাসিনা এ ক্ষেত্রে দৃঢ় অবস্থানে। যারা কাপুরুষ, হিন্দু ও অন্যান্য ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ করে, তাদের বাংলাদেশের মাটিতে থাকতে দিতে পারি না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছেন। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এখানে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিয়ে বাস করবে এবং যথাযথ মর্যাদায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব, উপদেষ্টা ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে শতাধিক ঢাক, সুসজ্জিত হাতিটানা রথ, জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকাবাহী ঘোড়া, মনোরম দৃশ্যপট নিয়ে বর্ণিল সাজে সজ্জিত তিন শতাধিক গাড়িবহরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মঠ-মন্দিরের লক্ষাধিক ভক্তের মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে জন্মাষ্টমী মিছিল পলাশী থেকে যাত্রা করে দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান, নবাবপুর রোড হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দুদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আজ ছিল প্রথম দিন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রী শ্রী গীতাযজ্ঞের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শংকর মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা।