মংলাকে গতিশীল করতে চীনের সঙ্গে চুক্তি
মংলা বন্দরকে আরো বেশি গতিশীল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে প্রায় দুই হাজার ৮২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এই প্রকল্পের খসড়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। আগামী ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে মংলা বন্দর আধুনিকতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন) মো. আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, গত ১২ আগস্ট চীনের সিনোমাচ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের খসড়া চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শিগগিরই চীনের এ প্রতিষ্ঠানের একটি বিশেষ দল মংলা বন্দর পরিদর্শনে আসবে। প্রকল্পের আওতায় আছে বন্দরের কন্টেইনার, গাড়ির ইয়ার্ড ও অবকাঠামো নির্মাণ, ট্রান্সফার টেইলার ও ক্রেন ক্রয়, যানবাহন ক্রয়, লাইটিং টাওয়ার স্থাপন, মোবাইল স্ক্যানার ব্যবস্থা চালু, বন্দর চ্যানেলের ডুবন্ত রেক উত্তোলন, বন্দর এলাকার ১৪ কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীত করণসহ বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজন মিটাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬ ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে।
আলতাফ হোসেন জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২০১৯ সাল থেকে এ বন্দরে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ভারতীয় ত্রেুডিট লাইনের অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ৪১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি অত্যাধুনিক জলযান সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আগামী দিনে বন্দরে কোনো ধরনের জলযানের সংকট থাকবে না। তিনি আরো জানান, মংলা বন্দর থেকে রামপালের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত পশুর চ্যানেলের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিংয়ের সমীক্ষা চলছে। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে মূল বন্দর চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের কাজ। এই চ্যানেলের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় কর্ম পরিকল্পনাও রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের।
পৃথক এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মংলা বন্দর চট্টগ্রামের মতো আধুনিক ও স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন আলতাফ হোসেন।