নোয়াখালীতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/09/24/photo-1537810400.jpg)
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হলেও মামলা করতে ভয় পাচ্ছে ভিকটিমের পরিবার।
জানা যায়, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা ওই মেয়ে রোববার বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে নিজ বাড়ি ফিরছিল। পথে গ্রামের হৃদয়সহ তিনজন মিলে স্কুলের সামনেই তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে একই এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায়। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তারা। পরে মেয়েটির চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে ওই দিনই ছাত্রীটির বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটি জানান।
মেয়েটির বাবা বলেন, অভিযুক্ত হৃদয় বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। আমি বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালেও এর কোনো উন্নতি হয়নি। রোববারের ঘটনাটি বেগমগঞ্জের ইউএনও মো. রুহুল আমিন ও বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
মেয়েটির বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিককে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করতে আইনি জটিলতা ছাড়াও আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মামলা করতে চাইনি। এ ছাড়া হৃদয়সহ অন্য ছেলেগুলো প্রভাবশালী হওয়ায় আমি মামলা করলে তারা আমার আরো ক্ষতি করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে পুলিশ বাদী হয়ে অনেক ঘটনারই সুরাহা করতে পারে এবং অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তিও দিতে পারে। এ ঘটনায় তারা নিজেরা যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমার পরিবার নিয়ে আমি নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারব।
এদিকে মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ছানাউল্লাহ বলেন, কোনোভাবেই অপরাধী যেন ছাড়া না পায় সে বিষয়ে আপনারা লেখালেখি করুন।
বেগমগঞ্জের ইউএনও মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ হলে খুবই ভালো হতো। কেননা এ সব ঘটনায় ভিকটিমের সাক্ষ্যের প্রয়োজন হতে পারে। তিনি এ ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে মোবাইল ফোনে থানা প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, এ রকম একটি ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। যদি কেউ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে তাহলে অপরাধীদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। সেই সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারকে আইনি সহায়তাও দেওয়া হবে।