ছাত্রীকে হত্যা, ইমাম গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের মসজিদের পাশে সিমেন্টের বস্তা থেকে এক স্কুলছাত্রীর (৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশ উদ্ধারের আগে পুলিশ সেনদিয়া মসজিদের ইমাম মো. সফিকুল ইসলামকে (২৫) আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছাত্রীর নাম আদুরী। সে সেনদিয়া গ্রামের টুকু সরদারের মেয়ে। আদুরী সেনদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে পড়ত বলে তার ভাই শাহিন জানিয়েছেন।
আদুরীর পরিবারের লোকজন জানায়, আদুরী অন্যান্য দিনের মতো গত রোববার সকালে তার সহপাঠীর সঙ্গে আরবি শিখতে সেনদিয়া বাজার সংলগ্ন মসজিদের ইমামের কাছে যায়। বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রী কম আসায় ইমাম তাদের না পড়িয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে এবং কৌশলে আদুরীকে আটকে রাখে। তারপর দুপুর গড়িয়ে গেলেও আদুরী বাড়ি ফিরে না আসায় সবাই খোঁজাখুজি শুরু করে। মাইকিং করেও জানানো হয়। পরে ০১৯৬০২৬৪৪২২ নম্বর থেকে বার বার কল করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আদুরীর বাবা টুকু সরদার মেয়ের ছবি পকেটে নিয়ে থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দৌঁড়-ঝাপ করতে থাকেন।
রাজৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সমীর হোড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বিকেলে মসজিদের ইমাম সফিকুলকে গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, রোববার সকালেই আদুরীকে হত্যা করে লাশ সিমেন্টের বস্তায় ভরে মসজিদের পাশে মাটির নিচে রাখা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আটক ইমাম সফিকুলের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার বৈয়ামপুর গ্রামে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ভূঞা জানান, ইমাম সফিকুলসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র আদুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শিগগিরই তার সহযোগীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।