‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন দেখতে চায় ভারত’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন দেখতে চায় ভারত। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে এরই মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।’
আজ রোববার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাটে প্রণব মঠের অতিথি ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
শ্রিংলা বলেন, ‘১৯৭১ সালে এক কোটি বাঙালিকে ভারত যেমন আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছিল এবারও বাংলাদেশ ঠিক একইভাবে ১১ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গাকে তার দেশে আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের যেমন সহযোগিতা থাকবে তেমনি অন্যান্য দেশেরও উচিত বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া।’
ভারত বাংলাদেশের সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে আছে উল্লেখ করে শ্রিংলা বলেন, ‘এখন দুই দেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক বিরাজ করছে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের আরো উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘আমরা এতে খুব খুশি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন জানিয়েছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমি নিজেও তা দেখেছি। কারণ এ দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে।
শ্রিংলা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিতে পেরে গর্বিত মনে করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বন্ধু দেশ বাংলাদেশে ভারত সরকারের দেওয়া ৩৫০ কোটি টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলছে।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।
ভারতীয় হাইকমিশনার এর আগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরে বংশীপুর মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি মন্দির সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ দেন। তিনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রণব মঠের অতিথি ভবন নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।