মুক্তি পেলেন শহিদুল আলম
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি মুক্তি পান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ, দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপক এ এস এম রেজাউর রহমান, পাঠশালা ফটোগ্রাফির বিভাগীয় প্রধান তানভির মুরাদ তপু, বরেণ্য আলোকচিত্রী তানজিম ওহাব, তাসলিমা আকতারসহ দেশের প্রায় অর্ধশত চিত্রশিল্পী ও ছাত্রছাত্রীরা।
এর আগে শহিদুল আলমের জামিননামার ভুল সংশোধন করে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ডেসপাস শাখা থেকে এ জামিননামা পুনরায় পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জায়েদুর রহমান।
জায়েদুর জানান, কারাগারে এ জামিননামা পৌছানোর পরে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে শহিদুল আলমকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে আজ দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে শহিদুল আলমের জামিননামা দাখিল করা হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম জামিননামা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কিন্তু জামিননামায় ঠিকানা ভুল থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তা সিএমএম আদালতে ফেরত পাঠায়।
গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শহিদুল আলমের হাইকোর্টের জামিনের আদেশ ঢাকার সিএমএম আদালতের নেজারত (আদান-প্রদান) শাখায় আসে।
গত ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় হাইকোর্ট শহিদুল আলমকে জামিনের আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার নথি থেকে জানা যায়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শহিদুল আলম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে, এ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে পুলিশ।