আশুগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/05/photo-1444058226.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলমের পদত্যাগের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন অভিভাবক প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
ঝাড়ু মিছিলটি আজ সোমবার সকাল ৯টায় শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়ক থেকে শুরু হয়ে এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়ক এসে শেষ হয়। ঝাড়ু মিছিল শেষে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতনিধি মো. খলিলুর রহমান মেম্বারের সভাপতিত্বে সমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি লাল মিয়া বকসী, মোজাম্মেল হক তপন, শরীফপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি ডাক্তার ফুল মিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম, দুলাল চৌধুরী প্রমুখ।
খোলাপাড়া শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, খোলাপাড়া শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করার সময় প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে দেড় হাজার থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা অতিরিক্ত নেয়। গত তিন বছরে প্রায় ছয় থেকে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহের কাছে গত ২০১৪ জানুয়ারি মাসে একাধিক লিখিত অভিযোগ করার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার জাহানকে প্রধান করে। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম এসব বিষয়ে কোনো কর্ণপাত না করে তিনি বিদ্যালয়ে না এসে তাঁর বেতন ও ভাতা নিতে থাকেন। প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি বিদ্যালয়ে না এসে কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন তা এলাকাবাসী তদন্ত করার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলমের ছয় থেকে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে আজ সকাল ৯টায় তাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-লালপুর সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়।
খলিলুর রহমান বলেন, দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আরো কঠোর আন্দোলন করে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।