নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ আসছে
মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সংযোগ ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোনের নম্বর অপরিবর্তিত রেখে ইচ্ছামতো অপারেটর পরিবর্তনের সুবিধা আনছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এ জন্য মাত্র ৩০ টাকা ফি দিয়ে কমপক্ষে ৪০ দিনের জন্য মোবাইল নাম্বার পোর্ট্যাবিলিটি (এমএনপি) সুবিধা নিয়ে অপারেটর পরিবর্তন সম্ভব হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এমএনপি সুবিধা চালু করার এই প্রস্তাবটি টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে গ্রাহকদের এমএনপি সুবিধা দেওয়া শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এমএনপি সুবিধা চালুর ফলে গ্রাহকসেবার মান বাড়বে ও মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হবে বলেও আশা টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর। তিনি জানান, এই সুবিধা ব্যবহার করে সকাল-বিকেল অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না গ্রাহকরা। একজন গ্রাহককে কমপক্ষে ৪০ দিনের জন্য অপারেটর পরিবর্তন করতে হবে। তবে তিনি ওই অপারেটরে সর্বোচ্চ কতদিন থাকবেন তার কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই।
মোবাইল কোম্পানিগুলো এটা মেনে নেবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, ‘লাইসেন্স নেওয়ার সময়ই মোবাইল কোম্পানিগুলোর (অপারেটর) সঙ্গে লাইসেন্সের শর্তই ছিল এটা যে, সরকার যখন ইচ্ছা এমএনপি পদ্ধতি চালু করতে পারবে।’ এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি আসেনি বলে জানান তিনি। অপারেটররা আপত্তি তো করবেই না বরং এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা করেন তিনি।
অনিবন্ধিত সিম বন্ধের যে প্রক্রিয়া সরকার শুরু করছে, তাতে যাদের সিম নিবন্ধন করা নেই তারা এমএনপি সুবিধা নিয়ে অপারেটর পরিবর্তন করে চলে যাবে কি না জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা যখন এমএনপি শুরু করব ওই সময় অনিবন্ধিত সিমগুলো আর থাকবে না। তার আগেই ওগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।’
অনিবন্ধিত সিম বন্ধের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।