পুলিশের দাবি ‘গোলাগুলিতে’ নিহত, স্ত্রী বলছে, তুলে নিয়েছে

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত ব্যক্তি একজন মাদক ব্যবসায়ী। দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। তবে, পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাকে আগেই তুলে নেওয়া হয়েছিল।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার তেঁতুলিয়ার বিশ্বাসের মোড়ের রাস্তার কাছ থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছেন তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল।
নিহত ব্যক্তির নাম মইজুদ্দিন আহমেদ টুলু (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি মেহেদি রাসেল দাবি করেন, পুলিশ ভোরে খবর পায়, তেঁতুলিয়ার বিশ্বাসের মোড়ে রাস্তার কাছে একটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে। তখন পুলিশ লাশটি উদ্ধার করতে যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আগের রাতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় টুলু নিহত হয়েছেন।
‘টুলুর মাথায় গুলি লেগেছে। লাশটির কাছেই পড়েছিল ১৬০ পিস ইয়াবা, ১৫ বোতল ফেনসিডিল, একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোনসেট। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে’, যোগ করেন ওসি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর রাতে সাতক্ষীরার গজালিয়া বিলে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চলাকালে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দুই সদস্য আমিনুল ইসলাম ও আবদুর রহিম দায়ের কোপে আহত হন। এ ঘটনায় মইজুদ্দিন আহমেদ টুলুর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলা এখনো বিচারাধীন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলাও রয়েছে।
তবে নিহত মইজুদ্দিন টুলুর স্ত্রী রহিমা বেগম ওরফে রেখা দাবি করেন, ‘আমার স্বামী আগে মাদক ব্যবসা করলেও এখন তিনি রড, সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ২০ হাজার টাকাসহ মোটরসাইকেলে করে তিনি সাতক্ষীরা যাচ্ছিলেন। এ সময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় কয়েক ব্যক্তি।’
‘টুলুকে একটি প্রাইভেটকারে করে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় একটি দোকানের সিসিটিভিতে তার ছবিও রয়েছে। এরপর থেকেই টুলুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
রেখা আরো জানান, স্বামীর খোঁজ চেয়ে তিনি ১৪ জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।