শরীয়তপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দোকানদার গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও ৮ বছরের আরেক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক দোকানদারকে গ্রেপ্তার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় যুবক কাদির ভূঁইয়া।
সখিপুর থানা ও শিশুদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন একটি ইটভাটায় চার বছর ধরে কাজ করে আসছেন শিশু দুটির মা-বাবারা। দুজনেই পরিবারই কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। নির্যাতনের শিকার শিশু দুটি মাঝে মধ্যেই নরসিংহপুর ফেরিঘাটের চায়ের দোকানদার কাদির ভূঁইয়ার দোকানে চকলেট ও বিস্কুট কিনতে যেত। গত সোমবার বিকেলে ইট ভাটার শ্রমিকের ১০ বছর বয়সী মেয়েকে চকলেট ও টাকার লোভ দেখিয়ে তার দোকানের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে অপর শ্রমিকের আট বছর বয়সী মেয়ে সেখানে গেলে তাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে কাদির। এ বিষয়টি কাউকে জানালে কাদির তাদের দুজনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফলে শিশু দুটি প্রথমে পরিবারের কাছে কিছু জানায়নি। এরপর মঙ্গলবার আবারো ১০ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করে কাদির। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাদির ওই শিশুটিকে তৃতীয় বারের মতো ধর্ষণের চেষ্টা চালালে বাড়ি গিয়ে আট বছর বয়সী শিশুটি পরিবারের কাছে সব জানিয়ে দেয়।
শুক্রবার খবরটি পুরো এলাকায় জানাজানি হলে সখিপুর থানার পুলিশ দুই পরিবারকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে কাদির ভূঁইয়াকে আসামি করে সখিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন আট বছর বয়সী শিশুর বাবা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাদির ভূঁইয়াকে নরসিংহপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাদির ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এদিকে শিশু দুটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে শুক্রবার বিকেলে আমি শিশু দুটিকে ও তার পরিবারের লোকজনকে থানায় নিয়ে আসি। এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে কাদির ভূঁইয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। আমরা আসামি কাদির ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।