মুঠোফোন নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ পদ্ধতি ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু
দেশে মুঠোফোনের সিম নিবন্ধনের জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি চালু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহক তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়ে মুঠোফোনের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন মাসের কাজের অগ্রগতি, সাফল্য ও ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তারানা হালিম বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল মোবাইল ফোনের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা। বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি চালু হলে সে ক্ষেত্রে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে যাব। বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি চালু করার জন্য যেসব কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োজন সেগুলো আগামীকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ে এসে পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্ট সজিব ওয়াজেদ জয়।’
তিন মাসের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করা এবং উন্নয়ন করা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ এসব ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অনেকের সহযোগিতা পাচ্ছেন বলেও জানান তারানা হালিম।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন, তা অনেকাংশে পূরণ হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তারানা হালিম আরো বলেন, ‘ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে পাঁচটির কাছ থেকেই সরকারের যে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাওনা রয়েছে তা আদায়ে পাঁচটির বিরুদ্ধেই ফৌজদারি আইন ও এনআই অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। আমরা তাদের স্টে অর্ডারগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলার জন্য কাজ করছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আমাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজাররা কাজ করছেন।’
অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অবৈধ ভিওআইপি কল ঢুকবে ওই নম্বর ধরে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাইজুর রহমান চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।