মাদারীপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/01/photo-1556707723.jpg)
মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে সদর থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষিকা।
মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পেশাগত কাজের জন্য সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে যান ওই শিক্ষিকা। সে সময় তাঁর কয়েকটি ছবি তোলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তোফায়েল। ছবি তোলার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিক্ষিকাকে পাশের আরেকটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যান এবং সদ্য তোলা ছবিগুলোর সঙ্গে অশালীন ছবি যুক্ত করে সেসব ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, পরে জোর করে ওই শিক্ষিকার বোরকা খোলার চেষ্টা করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। সে সময় ধস্তাধস্তিতে শিক্ষিকার বোরকা ছিঁড়ে যায়। পরে শিক্ষিকা চিৎকার শুরু করলে তাঁকে ছেড়ে দেন তোফায়েল।
পরবর্তী সময়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে রাতে সদর থানায় মামলা করেন শিক্ষিকা।
তবে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি তোফায়েল। অন্যদিকে মামলা করার কারণে ওই কর্মকর্তা চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষিকা।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, ‘আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করল, আবার আমারই চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি ওর বিচার চাই।’
এদিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তোফায়েল হোসেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কেন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে সদরের ইউএনও সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু বিষয়টি অফিশিয়ালি মীমাংসাযোগ্য নয়, তাই শিক্ষিকা মামলা করেছেন।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পরবর্তী করণীয় বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।