সোনাগাজীর সাবেক ওসির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/27/photo-1558954468.jpg)
ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পিবিআই সদর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার রিমা সুলতানা গতকাল আদালতে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাত যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করলে দুজনকেই থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম।
এরপর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সিরাজের লোকজন। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
এরপর গত ১৫ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন পিবিআই কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ অনুসারে, যৌন হয়রানির অভিযোগে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলার পর ২৭ মার্চ নুসরাতকে থানায় ডাকেন তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম। তিনি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনা নিয়ে নুসরাতকে আপত্তিকর ও অসহনীয় (যৌন হয়রানিমূলক) প্রশ্ন করেন।
এরপর মামলায় যথাযথ সহায়তা পাননি বলে নুসরাতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।