মেহেরপুর স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমেনা খাতুন হত্যা মামলায় আমেনার স্বামী জুলফিকার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল হাসান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমঝুপি গ্রামের জুলফিকার আলী ২০০৩ সালের ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে গলাকেটে হত্যা করেন। আমেনার বাবা একই গ্রামের আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে আমেনার স্বামীসহ তাঁর পরিবারের পাঁচজনের নামে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল আলম তদন্ত করে চার আসামিকে বাদ দিয়ে আমেনার স্বামীর নামে অভিযোগপত্র প্রদান করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য। জুলফিকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
যুবক হত্যায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
গাংনী উপজেলার রামনগনর গ্রামের নাছির উদ্দীন নামের এক যুবক হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলিমকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক টি এ মুসা।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নাছির উদ্দীন নামের এক যুবক নিহত হন। পরের দিন নিহতের বাবা আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আব্দুল আলিমকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গাংনী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলার বাদী রায়ে সন্তুষ্ট নন জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) কাজী শহিদুল হক জানান, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।