শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন যৌন হয়রানির ঘটনা না ঘটে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার না হয়- সেদিক জোর নজর দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি বন্ধে তদারকি ও নজরদারি জোরদার করতে হবে। আজ সোমবার ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কর্ম অধিবেশনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে জেলা প্রশাসকরা ছাড়াও বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ প্রশাসনকে গতিশীল করে জনগণের জন্য সেবার মান আরো বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে ৩০ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের কর্মঅধিবেশনে অংশ নিয়ে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জেলা প্রশাসকদের দাবি-দাওয়া ও পরামর্শ কী ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, রাজধানীসহ দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো মানের শিক্ষক রয়েছেন তাদের যেন পর্যায়ক্রমে গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে অতিথি শিক্ষক করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এতে পাঠদান পদ্ধতির আদান-প্রদান হলে সব শিক্ষার্থীই উপকৃত হবে।
দীপু মনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা ইন্টারনেটভিত্তিক ক্লাশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের এ প্রস্তাব এখনই হয়তো কার্যকর করা যাবে না। এটার সঙ্গে অনেক কিছুই সম্পৃক্ত। তবে ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবতে পারি।
কোচিং ও নোটবই বন্ধে জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় যাতে কোচিং না করানো হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে নোটবই বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শরীর চর্চা ও নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই যাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নিয়মিত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।