শিশু হত্যায় সাজাভোগকারীই দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/07/20/photo-1563626752.jpg)
মাদারীপুরে দশম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তির হত্যাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ মামলায় সদ্য গ্রেপ্তার দেখানো মো. সাজ্জাদ হোসেন খান এর আগেও শিশু হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেন।
মাদারীপুরে র্যাব ৮-এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করে দীপ্তি হত্যার ঘটনা বর্ণনা দেন তিনি।
গত ১৩ জুলাই একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের পর এটি মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তির বলে শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে মাদারীপুর র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা আতিকা ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত পুকুরে ১৮ জুলাই আবার তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি ব্যাগে দীপ্তির পোশাক পাওয়া যায়। এই সূত্র ধরে র্যাবের তদন্তে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইজিবাইক চালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ হয়। তাই সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে আসে র্যাব। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ র্যাবের কাছে দীপ্তিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।
আতিকা ইসলাম জানান, ১১ জুলাই বোনের বাসা থেকে শহরের চরমুগরীয়ায় চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য ইটেরপোল এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে ওঠে দীপ্তি। ইজিবাইকে আর কোনো যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি থাকায় ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ দীপ্তিকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে দীপ্তিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেন। পরে লাশ গুম করার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে কয়েকটি ইটসহ দীপ্তির পোশাকবিহীন লাশটি বেঁধে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেন। দুদিন পর লাশটি ভেসে ওঠে।
১৩ জুলাই মাদারীপুরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দীপ্তির বাবা হাসপাতালে এসে মরদেহটি তাঁর মেয়ে দীপ্তির বলে নিশ্চিত করেন এবং মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন।