স্কুলশিক্ষক ছেলেকে কিডনি দেবেন মা, প্রয়োজন ৮ লাখ টাকা
বর্তমানে প্রাণঘাতী কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ অচল হলে বেঁচে থাকা অসম্ভব।
নয় মাস ধরে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক সুজন দত্ত (৩৫) কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের অধীনে তিনি নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন। টাকার অভাবে এখন বন্ধ রয়েছে তাঁর চিকিৎসা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুজন দত্তের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তাঁকে বাঁচাতে হলে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হবে অথবা তাঁর শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে।
সুজন দত্তের বড় ভাই সুমন দত্ত জানান, তাঁরা সুজনের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে আগ্রহী। আর সেই কিডনি দেবেন তাঁদের মা বীণা রানী দত্ত (৫৫)। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন আট লাখ টাকা। কিন্তু এই মুহূর্তে এত টাকা তাঁদের নেই।
সুমন দত্ত বলেন, ‘আমি একটা জুয়েলারি দোকানে কাজ করি। আমার বাবা বেকার। ছোট বোন শ্বশুরবাড়িতে থাকে। বর্তমানে পরিবারে আমরা আটজন সদস্য। সংসার সামলাতে আমার হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য এত টাকা কোথায় পাব? টাকার অভাবে আমরা কিডনি ডায়ালাইসিসও করাতে পারিনি। এখন মা একটি কিডনি দেওয়ার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছেন। টাকা হলেই আমরা ভাইকে ঢাকায় নিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করার ব্যবস্থা করব।’
সুমন দত্ত আরো বলেন, ‘আমার ভাই অনেক ভালো ছবি আঁকে। আমরা চাই সুস্থ হয়ে সে অনেক বড় শিল্পী হবে একদিন।’
গত নয় মাসে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন বলে জানান সুমন দত্ত। এমন অবস্থায় সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন সুমন দত্ত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
সুজন দত্তের কাছে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : সুমন দত্ত, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর : ১৮৯-১৫১-১৯৬২৭১, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ফরিদপুর, নীলটুলি শাখা।