‘গাছ লাগানোই আমার পেশা, দেখভাল করাই নেশা’
‘আমি গাছ বড় ভালবাসি। গাছ বেড়ে উঠলে ফল দেয়, ছায়া দেয় ও সবুজ প্রকৃতি গড়ে তোলে। গাছ দেয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তাই গাছ লাগানোই আমার পেশা। এসব গাছ দেখভাল করাই আমার নেশা।’
টানা ১২ বছর ধরে সড়কের ধারে গাছ লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটারোই গ্রামের কোহিনুর ইসলাম শেখ। এবারো ছয় হাজার তালের আঁটি, আম ও জামের চার হাজার চারা ছাড়াও তিনি সড়কধারে বাবলা, খেজুর ও খৈ গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
কোহিনুর জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার এই নেশা। এজন্য লোকে তাকে ‘গাছপাগল’ বলে ডাকে। এক সময় তিনি চটের বস্তায় করে তালের আঁটি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে অথবা না কিনে বীজ সংগ্রহ করতেন।
সেই ধারা থেকে তিনি সরে যাননি উল্লেখ করে কোহিনুর জানান, সাতক্ষীরা শহরের প্রবেশমুখ বেনেরপোতা থেকে খুলনা সড়ক বরাবর সুভাষিনী বাজার পর্যন্ত অগনিত গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া সুভাষিনী এলাকা থেকে ভেতরের রাস্তায় জাতপুর হয়ে তালা উপজেলা সদর পর্যন্ত কাঁচা পাকা সড়কের দুই ধারে তাঁর লাগানো গাছ উঁকি দিচ্ছে।
রোববার বিকেলে সাতক্ষীরার বেনেরপোতায় আবারো তাল ও খেজুর বীজ, আমের-জামের চারাসহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানোর কাজ শুরু করেছেন কোহিনুর। তাঁকে উৎসাহ যোগাতে এবারের নতুন বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র ও তালা উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
কোহিনুর বলেন, ‘বীজ ও চারা সংগ্রহ ও সেটা রোপনে সব খরচ আমি নিজেই বহন করি। এজন্য কারও কাছ থেকে সহায়তা নেই না। এমনকি দিনমজুরের খরচও বহন করি। আমি চাই আমার চারদিক সবুজে ছেয়ে থাকুক।’