মেহেরপুরে বিল নিয়ে বিরোধে জোড়া খুন, পাঁচজনের যাবজ্জীবন
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে বিল নিয়ে বিরোধের জেরে জোড়া খুনের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আব্দুস ছালাম এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন এলাঙ্গী গ্রামের বজলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ ও ইয়াহিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাদী দিরাজ উদ্দীন ও তাঁর ভাই হিরাজ উদ্দীন এলাঙ্গী গ্রামে তাঁদের আত্মীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আক্তারের বাড়ি বেড়াতে যান। রাতের খাবার খাওয়ার পর আক্তারের নিজস্ব কক্ষে বসে সবাই গল্প করছিলেন। এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী সদস্যা তাঁদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে। যাওয়ার সময় হিরাজ পালিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যায় দিরাজ ও আক্তার মেম্বারকে।
পরের দিন দুপুর ১২টার দিকে পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বগাদী গ্রামের একটি মাঠ থেকে আক্তার মেম্বার ও দিরাজের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন রাতেই মেহেরপুরের গাংনী থানায় দিরাজের ভাই হিরাজ উদ্দীন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০০ সালের ৩০ জুন মামলায় ৪০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তৎকালীন গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ ও সামসুল হক। এর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষী গ্রহণ শেষে আজ দুপুরে এ রায় দেন বিচারক।
ওই গ্রামের দুটি বিলকে কেন্দ্র করে আসামি ও বাদীপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে বলে জানান বাদী হিরাজ উদ্দীন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শহিদুল ইসলাম।