আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিএনপিকর্মী নিহত
মেহেরপুর সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম রমজান আলী (৪২)। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর সাড়ে ছয় ঘণ্টা আগে রমজানকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ।
রমজান আলীর বাড়ি সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বলেন, রমজান বিএনপির কর্মী ছিলেন। স্ত্রী শরীফা বেগমও বলেন, তাঁর স্বামী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
রমজান আলী জামায়াতকর্মী দাবি করে পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে তাদের চার সদস্য আহত হয়েছেন। রমজানের সহযোগীদের দমাতে শটগানের ১১টি গুলি বর্ষণ করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুটি গুলি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাশকতা দমনে পরিচালিত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল রাতে রমজান আলীকে আটক করে সদর থানার পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল তাঁকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় যায়। ওই সময় সহযোগীরা রমজানকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে রমজানের সহযোগীরা পিছু হটে। ওই সময় একটি গুলি রমজান আলীর গায়ে লাগে। পরে আহত অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু এহসান মো. রাজু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব জানান, রমজান আলীর নামে সদর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে রাজনগরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয় এবং পুলিশের ওপর হামলা করা হয়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।