মেহেরপুরে শিশু অন্তর হত্যায় দুজন আটক
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে স্কুলছাত্র অন্তর হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
urgentPhoto
এদিকে প্রধান সন্দেহভাজন সবুজকে গ্রেপ্তারে ৩৬ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে এক মানববন্ধনে তাঁরা এই সময় বেঁধে দেন।
আটক হওয়া মিজানুর রহমান (৪৫) ও রোকসানা খাতুন (৩৫) প্রধান সন্দেহভাজন সবুজের খালু ও খালা। তাঁদের গাংনী থানাহাজতে রাখা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, শিশু অন্তর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বাওট এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সবুজের খালু ও খালাকে আটক করেছে বামুন্দি ক্যাম্প পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে সবুজ পলাতক। তাঁকে আটকের জন্য পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে অন্তর হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় সবুজকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের সময় দেয় তারা। মানববন্ধনে গ্রামের কয়েক হাজার শিশু, কিশোর, নারী ও পুরুষ অংশ নেয়। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
বাওট গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী কাফিরুল ইসলামের ছেলে ও বাওট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অন্তরকে (৭) গতকাল বৃহস্পতিবার অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আকরাম হোসেন জানান, গতকাল বিকেলের কোনো একসময় শিশু অন্তরকে গ্রামের খেলার মাঠ থেকে অপহরণ করা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে শিশুটির মায়ের মোবাইল ফোনে মুক্তিপণের টাকা চাওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়দের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাওট সোলাইমানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর লাশ বাওট গ্রামে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী গতকাল অভিযুক্ত সবুজের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।