জাজিরায় মেয়র পদে লড়ছেন আটজন
শরীয়পুরের জাজিরা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন আটজন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একজন করে। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে একজন স্নাতক (বিএ) পাস, দুজন এইচএসসি পাস আর একজন এসএসসি পাস। বাকি সবাই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। তবে প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন সময় মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। অনেকের কৃষিজমি রয়েছে, তবে এটা থেকে কোনো আয় নেই তাঁদের। নির্বাচনী হলফনামায় এসব তথ্য দিয়েছেন তাঁরা।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম স্নাতক পাস। তবে অতীতে তিনি সাতটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। মেসার্স আক্কাছ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক রফিকুল। কৃষি থেকে কোনো আয় নেই তাঁর। ব্যবসা থেকে বার্ষিক ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৫ টাকা আয় দেখিয়েছেন তিনি। নগদ ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৫ টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে ১০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রী পাঁচ ভরি স্বর্ণের মালিক। সোনালী ব্যাংক জাজিরা শাখায় এক লাখ টাকা ঋণ রয়েছে তাঁর।
আওয়ামী লীগের আরেক ‘বিদ্রোহী’ মো. আনিছুর রহমান অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা ছিল। এসব মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। কৃষি খাত থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা ও ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় তাঁর।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন ফকির অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। কৃষি খাত থেকে কোনো আয় নেই তাঁর। ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা বার্ষিক আয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। নগদ এক লাখ ও ব্যাংকে ২০ হাজার টাকা রয়েছে তাঁর। পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে তাঁর স্ত্রীর। কৃষিজমি রয়েছে দুই একর।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইউনুস বেপারী অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। অতীতের দায়ের করা তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। কৃষি খাত থেকে বছরে ২৫ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় তাঁর। নগদ ২০ হাজার ও ব্যাংকে জমা আছে পাঁচ হাজার টাকা। সঞ্চয় আছে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা। দুটি মোটরসাইকেল ও ১০ ভরি স্বর্ণ আছে তাঁর। কৃষিজমি দুই বিঘা ও অকৃষি জমি রয়েছে ২৪ শতাংশ। একতলা একটি ভবনের মালিক তিনি।
এসএসসি পাস আবুল খায়ের ফকির বর্তমান মেয়র। অতীতে চারটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। একটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বাকি তিনটি থেকে খালাস পেয়েছেন। কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৭০ হাজার টাকা আর ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ১৫ হাজার ১৬৮ টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে এক লাখ ৫১ হাজার ২০০ ও মেয়র হিসেবে ভাতা পান এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা। নগদ ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫১ টাকা ও ব্যাংকে আছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্থায়ী আমানত ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে রয়েছে তিন লাখ ২৮ হাজার ৫০ টাকা।
সেকান্দার আলী ফকির স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী। তিনি অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। তবে তিনি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন।
বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী শিকদার মো. ইকবার হোসেন এইচএসসি পাস। অতীতে দুটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। পেশায় সাধারণ ব্যবসায়ী। দুই একর কৃষিজমির মালিক তিনি। তবে কৃষি থেকে তাঁর কোনো আয় নেই। ব্যবসা থেকে বছরে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় তাঁর। নগদ এক লাখ, ব্যাংকে আছে এক হাজার টাকা। স্ত্রীর কাছে রয়েছে পাঁচ ভরি স্বর্ণ। ১২ শতাংশ অকৃষিজমি রয়েছে তাঁর, আছে একটি টিনের ঘর। তবে কোনো দায়দেনা নেই তাঁর।
খোকন তালুকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী, এইচএসসি পাস। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কৃষি থেকে তাঁর আয় ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা। অতীতে পাঁচটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। স্ত্রীর কাছে আছে পাঁচ ভরি স্বর্ণ। ৭২ শতাংশ কৃষিজমি ও একতলা একটি ভবন তাঁর।