দেশের উন্নয়নে সিপিডির ভূমিকা কী?
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে সিপিডির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে সিপিডির ভূমিকা কী? তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ দেশ যাতে পিছিয়ে যায়, সে জন্য তারা কাজ করছে।’
আজ দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন ও ডব্লিউটিওর সম্মেলন বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে যে চুক্তি হয়েছে, সেটি একটি প্রপ্তি। কিন্তু চুক্তিটি আদর্শ হয়নি। তাই আমরা এটা নিয়ে সংযত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছি। আর ডব্লিউটিও সম্মেলনে কিছু সামান্য অর্জন নিয়ে আমরা বের হয়ে এসেছি।’
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কোন অবস্থায় ছিল, আর এখন কোথায় পৌঁছেছি—এটা সিপিডির চোখে পড়ে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো আমরা ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বেশি এগিয়েছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় একটি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে। শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজার সুবিধা বাস্তবায়ন করাসহ অন্যান্য এলডিপি ইস্যু ও প্রেফারেন্স যেন ব্যাহত না হয়, তা ওই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সম্মেলনে রুলস অব অরিজিন-সংক্রান্ত এবং সেবা খাতের বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (পিএমএ) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে কোটামুক্ত শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে।
তোফায়েল বলেন, শতকরা ৭৫ ভাগ আউটসোর্সিং করে বাংলাদেশ রপ্তানি সুবিধা পাবে। এ ছাড়া গার্মেন্ট, কেমিক্যাল, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ট্রান্সফরমেশন সুবিধা পাওয়া যাবে।