ইয়াবা নিয়ে চ্যালেঞ্জ দিলেন বদি

কক্সবাজার-৪ আসনে (টেকনাফ-উখিয়া) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকরা ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারলে তিনি সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
urgentPhoto
আজ শনিবার কক্সবাজারে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণা মাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবদুর রহমান বদি এসব কথা বলেন। কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অনুষ্ঠানের আগে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘ইয়াবা ১০ টাকা দামের আছে। ইয়াবা ১৫ টাকা দামের আছে, ইয়াবা ২০০ টাকা দামের আছে। ২০০ টাকা দামের ইয়াবাগুলো ধরা হলো, ১০ টাকা দামের ইয়াবাগুলো সাংবাদিকদের কাছে বিক্রি করা হলো। সাংবাদিকরা ভাইয়েরা এগুলো নিয়ে চিটাগাংয়ে বিক্রি করছেন। একটু খবর নেন। আমার কথা যদি মিথ্যা হয়! খবর নেন। আমি চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছি। কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যদি কথা বলেছি, এক কাপ চা খেয়েছি, আমার মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং আছে, এ রকম যদি ট্র্যাকিং থাকে সেটা প্রমাণ করতে পারলে জাতীয় সংসদের পবিত্রতা রক্ষার্থে জনগণের কাতারে চলে আসব।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘দেশে ইয়াবা এবং ফেনসিডিলের প্রবেশ বন্ধে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হচ্ছে। ভারত আমাদের বলে গিয়েছে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল সরিয়ে নেবে। মিয়ানমারও আশ্বাস দিয়েছে, নিজেদের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার কারখানা সরিয়ে নেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যাঁরা কর্মকর্তা, তাঁরা সব সময়ই এ মাদক অভিযানের পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁদের একটা তালিকা সব সময় তৈরি করেন। প্রতি সময়ে আপডেটও করেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এটা নতুন কোনো প্রক্রিয়া নয়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটা দেখে কাজ করে থাকে। এটার ভুলভ্রান্তি যদি কিছু থাকে, প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটা সংশোধিত হয়। তালিকাগুলো হালনাগাদ সব সময়েই হয়ে থাকে।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।