আদালতের নির্দেশ থানায় পৌঁছালেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যখনই গুলশান থানায় পৌঁছাবে, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী কোনো দিকনির্দেশনা দেবেন কিনা, তা জানতে চান লক্ষীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। তিনি সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের আইনকানুন মানা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে এক ব্যক্তির কাছে বিষয়টি পুরোপুরি লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করছি। আমরা দেখছি মাননীয় আদালত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এবং অন্য একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর গুলশান ২-এর ছয় নম্বর রোডের বাড়িটি তল্লাশির অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে খালেদা জিয়া আদালতে না যাওয়ায় বিচার কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে। কার্যত তিনি আদালতের নির্দেশ অবজ্ঞা করছেন।’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালত নির্দেশ দিয়েছেন গুলশানের অফিস তল্লাশি করতে। এবং এই নির্দেশনামা যে মুহূর্তে গুলশান থানায় পৌঁছাবে, তখনই পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এবং এটা করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ উনি বাড়ি ছেড়ে কেন অফিসে বসে আছেন, এটা একটা রহস্য। আসলে বিএনপি নেত্রী এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেত্রী না, তিনি এখন জঙ্গিনেত্রী।’
এ সময় টেবিল চাপড়ে তার বক্তব্যকে সমর্থন জানান সংসদে উপস্থিত বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) যে কাজটা করছেন, সেটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। কোনো সুস্থ মানুষ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না। আর ওরা হরতাল আর অবরোধ, এমনকি নিজের ছেলে যেদিন মারা গেছে, তাঁর লাশ যেদিন আসছে, সেদিনও অবরোধ তিনি তোলেন নাই। হরতাল প্রত্যাহার করেন নাই। নিজের ছেলের ওপর যার এতটুকু দরদ নাই, তার কাছ থেকে দেশবাসী কী আশা করতে পারে? মনে হয়, তিনি এই দেশকে একটা জঙ্গি শাসন কায়েম করতে চান, জঙ্গিবাদী নেতা হয়ে গেছেন। কাজেই মানুষের জানমাল কেড়ে নেওয়া, মানুষকে পুড়িয়ে মারা, মানুষের ক্ষতি করা, দেশের ক্ষতি করা এই একটাই তার কাজ।’