স্ত্রীকে হত্যার পর মাটিচাপা
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর এক গৃহবধৃর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামী বিল্লাল হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামের একটি শুকনো পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গোসাইরহাট থানার পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, চার বছর আগে মাছুয়াখালী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নারকেলী কানুরগাঁও গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের মেয়ে শারমীন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারমীনকে নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সম্প্রতি ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন বিল্লাল। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে কালকিনি থানায় মামলার করেন শারমিনের পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লাল গত ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে গলা টিপে শারমিনকে হত্যা করেন। এরপর লাশ বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত শুকনা পুকুরের মধ্যে মাটি চাপা দেন।
এদিকে শারমিনকে না পেয়ে তাঁর মা জাহানারা বেগম গত ১১ জানুয়ারি গোসাইরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সন্দেহভাজন হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিল্লালকে আটক করে গোসাইরহাট থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকালে পরিত্যক্ত শুকনো পুকুরে পুঁতে রাখা শারমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত শারমিনের মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছিল বিল্লাল। মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে মারধর করত। যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়েটিকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকারীর বিচার চাই।’
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে বিল্লালকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সকালে মাটি চাপা দেওয়া গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।