মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের জেরে যুবলীগ নেতার কার্যালয়ে হামলা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আওয়ামী লীগকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্করকে (৭০) মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার জের ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল করে। এ সময় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলেহিম হোসেনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চৌগাছা গ্রামের আবু বক্করকে পৌরসভার সাবেক কমিশনার আলেহিম হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা মারধর করে।
এর প্রতিবাদে রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিছিল থেকে হাসপাতাল এলাকায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত কার্যালয় ও শেখ রাসেল ক্লাব ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে গাংনী ট্রাফিক আইল্যান্ড চত্বরে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এ সময় কাথুলী মোড়ে শরিফ উদ্দীন ও আজিজুল হকের চায়ের দোকানে ইট নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুবলীগ নেতা মজিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে তাঁর ব্যবসায়িক কার্যালয় ও শেখ রাসেল ক্লাব ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন জাতীয় নেতার ছবি, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্করকে সাবেক কাউন্সিলর আলেহিম ও তাঁর সঙ্গীরা মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।