কক্সবাজারে সাত লাখেরও বেশি ইয়াবা বড়ি আটক

কক্সবাজারের কলাতলী সমুদ্র উপকূলে সাত লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ির চালান উদ্ধার করেছেন র্যাব ৭-এর সদস্যরা। ইয়াবা চালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মাছ ধরা ট্রলারসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে র্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মিয়ানমারের নাগরিক। আটক ইয়াবা বড়িগুলোর মূল্য ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছে র্যাব।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব ৭-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, মিয়ানমার থেকে সমুদ্র পথে ইয়াবার একটি বড় চালান কক্সবাজারের দিকে আসার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ৭-এর একটি দল আজ বুধবার ভোর রাতে কলাতলী সমুদ্র উপকূলে গোপনে অপেক্ষা করতে থাকে। এই সময় র্যাবের দল এফভি মায়ের দোয়া নামক একটি মাছ ধরা ট্রলারকে আটক করে। ট্রলারের থাকা ছয়জনকে আটক করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহম্মেদ আরো জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মুহাম্মদ যুবায়ের মিয়ানমারের নাগরিক। বাকিরা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এঁরা হচ্ছেন, আব্দুর রহিম, আশেক উল্যাহ, সামসুল আলম, মো. হাসান ও মো. ইউনুছ। আটক ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী ট্রলার থেকে সাত লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, শহরের দক্ষিণ কলাতলী এলাকার একটি চারতলা ভবন থেকে মুহাম্মদ রশিদ নামের একজনকে ৩০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ আটক করে র্যাব।
র্যাব দাবি করে, আটক মুহাম্মদ রশিদ ও তাঁর বড় ভাই মুহাম্মদ মুফিজ মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ইয়াবা বড়ির বড় ব্যবসায়ী। ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে জানিয়েছে র্যাব।