খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি মেজর আকতার
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থানকারী চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা তাঁকে ঢুকতে দেননি।
ফটক না খোলায় আকতারুজ্জামান সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার কিছু আগে আকতারুজ্জামান ওই কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যান। সেখানে গেটের বাইরে একটি টেবিল নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বসেছিলেন প্রতিদিনের মতোই। তাঁরা আজকে কাউকে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেননি এবং সেখানে কারো নামও নিবন্ধন করতে হয়নি। আর এই প্রধান ফটকের পাশেই রয়েছে আরেকটি ছোট ফটক। এর ভেতরেই বসেন চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা। আকতারুজ্জামান সরাসরি প্রধান ফটকের পাশের ছোট ফটকের কাছে চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে সিএসএফ সদস্যরা অনুমতি দেননি। এ সময় আকতারুজ্জামান মোবাইলে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেউ সাড়া না দেওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে আকতারুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘বাইরে পুলিশ ও ভেতরে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের লোকজন আমাকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। দলটা (বিএনপি) এখন শিমুল বিশ্বাসের (খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস) হাতে বন্দী। এই শিমুল বিশ্বাস সরকারের এজেন্ট। সে যা বলছে, তাই হচ্ছে।’
আকতারুজ্জামান আরো বলেন, ‘সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিএনপির লাখো কর্মী জেলে যাবে, মরবে। তবুও আন্দোলন থামবে না।’
আকতারুজ্জামান সেখানে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যান। গাড়িতে ওঠার সময়ও তিনি কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আখতারুজ্জামান সাহেব যে এসেছিলেন, সেটা আমি জানতাম না। ফটকে তাঁর সঙ্গে কাদের কথা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে কিছুক্ষণ আগেই তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ কার্যালয়েই সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি গত ৪ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশানের এ কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য একটি কার্যকর সংলাপের দাবিতে এখান থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ১৯ জানুয়ারি এ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।