শরীয়তপুরে তিন দিনের আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু
বিশ্ব ইজতেমার অংশ হিসেবে এই প্রথমবারের মতো ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা থেকে শুরু হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শরীয়পুরের কীর্তিনাশা নদীর তীরে প্রায় ২০ একর জমির উপর ইজতেমার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ জহুরের পর থেকে আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আজ বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছে মুসল্লিরা। দুই দিক থেকে কীর্তিনাশা নদীর তীর ঘেঁষা শরীয়পুরের রাজগঞ্জ এলাকায় ইজতেমাস্থল বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিদের আগমনে এখন মুখরিত। ইস্তেমার প্রস্তুতি সফলভাবে শেষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার তাবলীগ জামাতের লোকজনের বাইরেও দিল্লি জামাতের একটি দল এই ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।
ইজতেমা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ও সরেজমিনে জানা গেছে, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরীয়তপুর মার্কাস মসজিদের মুসল্লিদের উদ্দ্যোগে শরীয়তপুর জেলায় এই প্রথমবারের মত আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় কীর্তিনাশা নদীর পূর্ব পাড়ের উত্তর কোল ঘেষে প্রায় ২০ একর জমির উপর আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা হয়েছে। এই ইজতেমা ময়দানে প্রায় আড়াই লাখ মুসল্লি তাবুর নিচে বসে বয়ান শুনতে পারবেন।
প্রায় ১ মাস যাবত স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে শত শত মুসল্লিরা এ ইজতেমা সফল করার জন্য কাজ করেছেন। ইজতেমা মঞ্চের পশ্চিম পাশে কীর্তিনাশা নদীর তীরে মুসল্লিদের জন্য বাঁশের মাচা তৈরি করে অজু ও গোসল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম পার্শ্বে ৩ শতাধিক অস্থায়ী টয়লেট ও ৫ শতাধিক প্রস্রাব করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০টি টিউবয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ থেকে ১২টি পাইপ লাইনের মাধ্যমে ১ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১২টি ট্যাংকি বসানো হয়েছে। তা ছাড়াও শরীয়তপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কে বাতি লাগানো হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বাদ মাগরিব থেকে হেদায়াতী বয়ান শুরু হয়েছে। আগামী শনিবার দুপুর ১২ টায় আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে শরীয়তপুরের আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।