ইউপি ভোট সম্প্রীতির, আনসারই যথেষ্ট : শাহনেওয়াজ
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ‘সম্প্রীতির নির্বাচন’ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, এ ভোটে নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনীই যথেষ্ট।
শেরে বাংলানগরে নিজ কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে পৌনে সাত হাজারের মতো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন হবে। পুলিশ, র্যাব ও আনসার দিয়ে সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে পারব না। তাই বিজিবি দরকার হবে। আমরা ভোটের দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের অনুরোধ করব।’
ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরস্ত্র আনসার ও আর্মড আনসার আরো বাড়ানো হতে পারে উল্লেখ করে মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে একচুয়ালি সম্প্রীতির ভাবটাই বেশি থাকে। আনসারই যথেষ্ট পরিমাণ দিলে তাদের (প্রার্থী ও ভোটার) সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আর বিজিবি, পুলিশ, র্যাব তো থাকবেই।’
সেনা মোতায়েনের কোনো কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন শাহনেওয়াজ।
সর্বশেষ ইউপি ভোটে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি থাকলেও এবার বিজিবি না রাখার পরিকল্পনার কথা একদিন আগে জানিয়েছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে বিএনপির শঙ্কার মধ্যে একজন কমিশনারের আগাম বক্তব্যে ইসিতে সমালোচনাও হয়। এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন শাহনেওয়াজ। তিনি জানান, ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখনো কমিশন বৈঠক করেনি। কমিশন বৈঠকেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘গত নির্বাচনে যারা ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, এবারও তারা থাকবে। পুলিশ, আনসার, র্যাবের সঙ্গে বিজিবি থাকবে; কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কারা থাকবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরো কী করা যায় তার চেষ্টা করা হবে।’
‘সেনাবাহিনী মোতায়েন চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্ত। গত পৌরভোটেও সেনা মোতায়েন না করে সুন্দরভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এ নির্বাচনেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা বা সম্প্রীতি নষ্টের শঙ্কা নেই।
কাজেই সেনাবাহিনীকে চট করে নিয়ে আসার কোনো কারণ আমি দেখি না’- বলেন শাহনেওয়াজ। তবে সব কিছুর বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শাহনেওয়াজ আরো বলেন, যখন কমিশন সভা হবে, তখন সিদ্ধান্ত হবে ভোটে কারা থাকবে। স্বাভাবিক অবস্থায় সেনা মোতায়েনের কোনো কারণ দেখি না। সে ধরনের কোনো অবস্থা বিরাজ করছে না।