মিরপুর থানার ওসিসহ পাঁচজনকে অব্যাহতির আদেশ
রাজধানীর মিরপুরের ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন হত্যা মামলায় মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস অভিযোগ আমলে নিয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিনসহ পাঁচজনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ধানমন্ডির শংকর এলাকার নিজের বাসা থেকে মিরপুর থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে চাঁদার দাবিতে মারধর করে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী সুজনকে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মমতাজ সুলতানা ২০ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মিরপুর থানার ওসি সালাহউদ্দিন আহমেদ, এসআই জাহিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজকুমার, কনস্টেবল আসাদ, রাশিদুল, পুলিশের সোর্স পলাশ, খোকন, নাসিম, ফয়সাল ও মিথুনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক বাদীর জবানবন্দী শোনার পর মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় ওই সময় এসআই জাহিদকে বাহিনী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ব্যবসায়ী সুজনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনে মৃত্যুর কথা উঠে এলে ১৭ জুলাই এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। এর আগের রাতে গ্রেপ্তার করা হয় এসআই জাহিদকে।
সে সময় সুজনের ভাই মাকসুদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রতি মাসে এক লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়া হলে তাঁর ভাইয়ের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এসআই জাহিদ। তা না দেওয়ায় সুজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান মাকসুদ।