পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত
চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশ চলাকালে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত এবং তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল।
আজ সোমবার দুপুরে নগরীর লালদীঘিঘ এলাকায় পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার (সিএমপি)।
এর আগে সকাল থেকে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সেখানে এসে সাংবাদিকদের এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত বুধবার ১৪ দলের সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার সময় তিনি দেশে ছিলেন না। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনে অনেক সন্ত্রাসী প্রবেশ করেছে। অন্যায়কারীরা দলে প্রবেশ করে সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। এরা শুধু সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি, নারী সাংবাদিকদের গায়ে হাতও তুলেছে। এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে মহিউদ্দিন চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগের নামধারী দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথে নিয়ে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান। এরপর সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল তাঁর কার্যালয়ের নিচে নেমে সবাইকে নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে যান। সেখানে যৌথ সভায় সবার বক্তব্য শুনে তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন।
সভায় আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, গত বুধবারের ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। তবে ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে জনসভায় যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তারা ছাত্রলীগের নামধারী। এ দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে সাবাদিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
সভাশেষে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী এনটিভি অনলাইনকে জানান, পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে আগামী এক সপ্তাহ সাংবাদিকদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের পদযাত্রা কর্মসূচির সমাবেশে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় আটজন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্ছিত হন। এ সময় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ১২ জনকে আসামি করে নগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন সাংবাদিকরা।