আজ বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মবার্ষিকী
আজ ১৭ মার্চ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৯৬ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি পালিত হয়, জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বাসস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৯৫ বছর বয়সী অনেক রাজনীতিক এবং বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিত্বের নেতৃত্ব ও স্ব স্ব কমর্কাণ্ডে নিয়োজিত থাকার নজির থাকলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এ ছাড়া মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এবং শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিব। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকিটে পূর্ব বাংলা গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও পরে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি লাভ করেন।
বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদের জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে কয়েকজন বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
রাষ্ট্রপতির বাণী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দিনটি উপলক্ষে রোববার দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের জন্য দেশের নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল হামিদ আরো বলেন, শৈশব থেকেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে সৎ গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে; যাতে তারা নিজেদের গড়ার পাশাপাশি দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে শেখে।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আসুন, শিশুদের কল্যাণে আমরা আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার শপথ নিতে হবে। শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠন ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে তাদের প্রিয় মাতৃভূমি ও জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আজ কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হয়েছে। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত অবশিষ্ট পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। বিচারের রায় বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামী দিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
দিবসটি ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন
আজ সারা দিন ধরেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হবে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি উপলক্ষে শিশু সমাবেশ, র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা সদরে সরকারি পর্যায়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ডিএফপি ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে দুদিনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় একটি প্রতিনিধিদল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন। এ ছাড়া সেখানে শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।
আওয়ামী লীগের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৮ মার্চ বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখবেন।
জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি
স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচি অনুযায়ী উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ওয়ার্ডেন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অফিসপ্রধানবৃন্দ উপাচার্য ভবনে জমায়েত হবেন এবং সেখান থেকে সকাল ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চারুকলা অনুষদের ডিনের আয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকাসমূহের শিশুরা অংশ নিতে পারবে। মোট তিনটি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ-ক : প্লে গ্রুপ থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত, গ্রুপ-খ : চতুর্থ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত এবং গ্রুপ-গ : অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রতিযোগীদের বয়স বা শ্রেণি যাচাইয়ের জন্য পরিচয়পত্র ও জন্মসনদের একটি সত্যায়িত কপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ ছবি আঁকার কাগজ সরবরাহ করবে; অন্যান্য উপকরণ নিজেদের নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি গ্রুপে শ্রেষ্ঠ ১০জন হিসাবে মোট ৩০টি পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আবাসিক হল, হোস্টেলের মসজিদ ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে এবং হলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিএসএমএমইউতে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা দেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ চিকিৎসাসেবার উদ্বোধন করবেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে।