শ্রীনগরে শ্লীলতাহানি, ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় স্কুলছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছে বখাটেরা। এ ঘটনায় সালিশ বসলে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এরপর বখাটেদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত পাঁচটি গ্রামের ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয় স্থানীয় মসজিদগুলোর মাইক থেকে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শ্রীনগরের রুসদী উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে স্কুলটি প্রায় ছাত্রী শূন্য রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে তার ভাই শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুর রহমান বলেন, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীসহ অন্য ছাত্রীরা রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে বিবন্দী-তন্তর রাস্তার বাগবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে কিছু যুবক তাদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ পেয়েছি।’
স্থানীয় লোকজন জানায়, শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবকরা বখাটেদের গ্রামে গিয়ে গণ্যমান্যদের কাছে বিচার দাবি করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় মীমাংসার জন্য সালিশ বসলে বাগবাড়ী গ্রামের আশরাফ হাওলাদার বখাটেদের পক্ষ নেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, রাস্তা দিয়ে যে সব ছাত্রী চলাচল করবে তাদের ওই ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সালিশ বৈঠকটি ভেঙে যায়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয় এবং সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়।
এর পর পরই রাত ১০টার দিকে ওই এলাকার বাগবাড়ী, পাঁচলদিয়া, বনগাঁও, বিবন্দী ও টুনিয়া মান্দ্রা গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে ওই সব এলাকার ছাত্রীদের রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র বাবু বলেন, ‘এই ঘটনাটা স্কুলের বাইরে ঘটেছে। স্কুলের ভেতরে ঘটেনি। কিন্তু আমি আজ শুনতে পেয়েছি। স্কুলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বিদ্যালয়ে ছাত্রী উপস্থিতি ছিল কম।’
প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলের সব শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে অভিভাবকদের কাছে গিয়ে ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
এসব ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, বখাটেদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করি কাল-পড়শুর মধ্যে স্কুলের ছাত্রীরা স্কুলের ফিরে যাবে।