ময়মনসিংহে আদিবাসীদের মানববন্ধন
খাগড়াছড়িতে ২১ পাহাড়ি পরিবারের ‘ভূমি দখল’ করার প্রতিবাদে ‘শান্তিপূর্ণ’ পদযাত্রায় সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ময়মনসিংহে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শাপলা চত্বরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী সংগঠন ও বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) ময়মনসিংহ শহর শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে পাহাড়িদের জমি ফেরত এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি নয়ন চাকমা ও বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিংকন, গারো ছাত্র নেতা প্রদীপ চাকমা, বিপু রেমা ও ইমরান হাসান শিমুল।
গত রোববার খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়ার কার্বারী টিলা এলাকায় ইউপিডিএফ সমর্থিত ভূমিরক্ষা কমিটির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৯ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হন।
এ বিষয়ে ইউপিডিএফের সংগঠক কিশোর চাকমা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দীঘিনালার বাবুছড়ায় নির্মাণাধীন ৫১ বিজিবি সদর দপ্তর অভিমুখে ইউপিডিএফ সমর্থিত দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংগঠনের দাবি ছিল, দীঘিনালা ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর অন্যত্র স্থানান্তর এবং উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকে নিজ জমিতে পুনর্বাসন। এ দাবিতে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ বাবুছড়া অভিমুখে পদযাত্রা করে। পদযাত্রাটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্বারী টিলা এলাকায় পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। এ পর্যায়ের ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমি রক্ষা কমিটির লোকজন ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এনটিভি অনলাইকে বলেন, ‘কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। প্রাণ রক্ষায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি করা হয়।’ হামলায় তিনিও আহত হয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরো আট সদস্য আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।