সরকারি প্রার্থীদের জয়ী করতেই দলীয় প্রতীকে ভোট
সরকারি দলের প্রার্থীদের চিহ্নিত করে নির্বাচিত করার জন্যই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শেরে বাংলানগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন মঈন খান।
বিএনপির এ নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। গত পৌরসভা নির্বাচনের আগে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ভোট শেষে আমরা সেই চিত্রই দেখেছি। আমরা আশঙ্কা করছি গত পৌরসভা নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা হবে।’
‘আমাদের মনে হয় প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে সাতশর মতো চেয়ারম্যান পদ সরকারি দল নিয়ে জনগণকে দেখানোর জন্য বিএনপিকে হয়তো ২০-৩০টা দেবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের যতই সদিচ্ছা থাকুক না কেন তার ফলাফল শূন্য। কমিশন যতই শক্তিশালী হোক না কেন তারা কিছুতেই সরকারের সাঁড়াশি থেকে বের হতে পারছে না। কারণ নির্বাচনের সময় সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা হয়। আর তারা চাকরি হারানোর ভয়ে সরকারি দলের প্রার্থীদের জয়ী করতে কাজ করে।’
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করার আইন সৃষ্টি হওয়ায় জগাখিচুড়ি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘সরকারের প্রধান যে মোটিভ তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। আর তা হলো সরকার কেন্দ্র দখল করেছে। আর এখন এ নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল দখল করবে।’