বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী আর নানা-নাতিতে ভোট জমেছে বেশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/12/photo-1457803164.jpg)
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী এবং নানা-নাতি। তাঁদের লড়াইয়ের খবর এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।
উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত নেতা মো. আবু তালেব। এর আগেও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। লড়ছেন চশমা প্রতীক নিয়ে ।
আর আবু তালেবের ছেলে ইকবাল হোসেনও একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি লড়ছেন টেলিফোন প্রতীক নিয়ে।
বাবা ও ছেলে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আবু তালেব বলেন, ‘এতে সমস্যা কোথায়? এরই নাম গণতন্ত্র। দেশে গণতন্ত্র আছে কি না জানি না। তবে আমার বাড়িতে তো আছে।’
খুব সকালেই বাবা ও ছেলে যে যার রুটিন অনুযায়ী প্রচারকাজে বেরিয়ে যান। রাতে যখন ফেরেন তখন ঘরে এক টেবিলে বসে খাবার খান। এতে কেউ অস্বস্তিবোধ করছেন না বলে জানালেন আবু তালেব।
উপজেলার আরেক ইউনিয়ন দেয়াড়া। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপিদলীয় প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়েন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গতকাল শুক্রবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পেয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক।ওই ইউনিয়নে ইব্রাহিমের স্ত্রী নাজমা পারভিনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে।
স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘অসুবিধা কোথায়। দুজনেই প্রার্থী হয়েছি। এতে তো কোনো বাধা নেই। নির্বাচনে আমি না হয় আমার স্ত্রী জিতবে।’
তবে ভোটাররা বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ইব্রাহীম হোসেন আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থীর মারমুখী বাধার কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। কৌশলগত কারণেই তিনি তাঁর স্ত্রী নাজমা পারভিনকে প্রার্থী করেছেন। এখন যেহেতু ইব্রাহীম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন তাই তাঁর স্ত্রী পারভিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন।
উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন মাহবুবুর রহমান মোফে। তাঁর ভাতিজির ছেলে স্থানীয় সাংবাদিক মেহেদি মাসুদও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে ।
স্থানীয়রা বলছে, নানা-নাতিতে খাতির ভালো। কেউ কারো ক্ষতি করছেন না। নিজেদের মতো করেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
তবে নাতি মেহেদি মাসুদ বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বুঝে নির্বাচনে নেমেছি। পারিবারিকভাবে যত মধুর সম্পর্ক থাকুক না কেন আমার চাচাতো নানা মাহবুবুর রহমান মোফে একই দল করলেও তিনি আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
মেহেদি হাসান যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজের কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি।