সংঘর্ষ সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ ইসির
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান গোলযোগ-সংঘর্ষ সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. শাহনেওয়াজ।
ইউপি নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটের আর মাত্র আট দিন বাকি। কিন্তু প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে অনেক এলাকায় সংঘর্ষ ও সহিংসতা চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই শেরে বাংলানগরে নিজ কার্যালয়ে আজ রোববার দুপুরে ইসি সাংবাদিকদের এ কথা জানালেন।
শাহনেওয়াজ বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে সংঘর্ষ হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার জন্যে বলেছি। কেউ যেনো কারো ওপর চড়াও হতে না পারে- সে কারণে পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রশাসনের সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি।’
ইসি জানান, ২২ মার্চের প্রথম ধাপের ভোটের জন্য তাঁদের প্রস্তুতি রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের কাজ শেষ হয়েছে। অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনে কিছু অভিযোগ আসছে। যে অভিযোগগুলো আসছে তার সবগুলোর বিষয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে- ইসিতে অভিযোগের স্তূপ। অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পাচ্ছি, এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কারো অবহেলা দেখলে তাদেরও ছাড় দেব না। সবার সহযোগিতা লাগবে। কারো গাফিলতির কারণে নির্বাচনটা যেন নষ্ট না হয়। এজন্য সব রকম সতর্কতার সঙ্গে তারা যেন কাজ করে। কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। যেখানে অনিয়ম দেখবেন সেখানে জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছি। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সে যে পর্যায়ের হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবস্থা নিয়েছিও।’
ইসি জানান, যে পর্যায়ের ব্যক্তিই হোক না কোন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় না দেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরে এলেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বিন্দু পিছপা হব না। স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচন সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে যেন হয়, কিছু লোকের জন্য যেন তা নষ্ট না হয়। সে ব্যাপারে কঠোরভাবে নজর রাখছি।’ এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দল মত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি- সুন্দর নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবেন। কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন এবং লঙ্ঘনে সহযোগিতা করেন তাদের আমরা ছাড় দেব না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না- এটা আমাদের অনুরোধ, সতর্কবাণী হিসেবেও দেখতে পারেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রথমে নির্বাচনের দিকে খেয়াল রাখছি। কোন দল কতটুকু নাখোশ হলো, কতটুকু বিরক্ত হলো সে দিকে নজর রাখছি না। এবার আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। ভবিষ্যতে তাঁরা যেনে অপ্রিয় কোনো কাজ ও নির্বাচন ব্যহত করতে না পারেন- সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছি।’