‘যতই অস্বীকার করা হোক, তারাই তুলে নিয়ে গেছে’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পেতে তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ আবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন। তিনি দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা আহমেদ বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের চিন্তায় পরিবারের সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যতই অস্বীকার করা হোক না কেন, তারাই সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব এখন তাঁকে জনসমক্ষে হাজির করা,’ বলেন হাসিনা আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া। এতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের দ্রুত সন্ধান দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক গ্রেপ্তার ও গুম-খুন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত সংলাপে বসে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে ১১ মার্চ রাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গুলশান ও উত্তরা পশ্চিম থানায় যান তাঁর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। তবে কোনো থানাই তাঁর জিডি গ্রহণ করেনি।
আজ সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করারও আবেদন জানান।
১২ মার্চ হাসিনা আহমেদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে ৮ এপ্রিল।
২০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়ার ‘খবরে’ কয়েকটি চরে অভিযান চালায় গাইবান্ধার পুলিশ। পরে জানা যায়, খবরটি ভিত্তিহীন।