ইউপি নির্বাচনে আ. লীগ এগিয়ে

দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা অনেক এগিয়ে আছেন। এখন পর্যন্ত এনটিভি অনলাইনের হাতে ৪০৮টি ইউনিয়নের ফল রয়েছে। তাতে আওয়ামী লীগ ২৯২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪টি ইউপিতে। ৪১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ছয়টি ইউপিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। চারটি ইউপিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও ২১টি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের নয়জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তিনজন ও বিএনপি মনোনীত এক প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউপির পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের, দুটিতে বিএনপির, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের ১০টি ইউপির সাতটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। দুটিতে বিএনপি ও একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
জয়পুরহাটের নয়টি ইউপির আটটিতে আওয়ামী লীগের ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
পাবনার ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার ১০ ইউপিতে আওয়ামী লীগের আটজন ও বিএনপির দুজন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
নীলফামারীর পাঁচ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত তিনজন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একজন ও বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কুড়িগ্রামের ১৩ ইউপির ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত, তিনটিতে বিএনপি, তিনটিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের ১০ ইউপির সাতটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুরের ৩৫টি ইউপির ১৯টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত, সাতটিতে বিএনপি, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। একটি স্থগিত রয়েছে।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ছয়টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত তিনজন ও আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউপিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। ভোলা সদর উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুরের তিনটি ইউপির দুটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের ৩১টি ইউপির ৩০টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৪টি ও কোটালিপাড়া উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার দুটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের ১৮ ইউপির ১১টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে বিএনপি, চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে শ্রীনগর উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের ২০টি ইউপির ১২টিতে আওয়ামী লীগ, চারটিতে বিএনপি, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
মানিকগঞ্জের ২০টি ইউপির ছয়টিতে আওয়ামী লীগ, পাঁচটিতে বিএনপি, সাতটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের ১৩ ইউপির ১০টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে বিএনপি ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুরের ১৬ ইউপির ১২টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত, দুটিতে বিএনপি, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে নকলা উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
জামালপুরের ১৪ ইউপির ১২টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রামের ২৯টি ইউপির ২৮টিতেই জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। শুধু একটিতে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
নোয়াখালীর ১৪টি ইউপির ১১টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১১ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নয়জন ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
কক্সবাজারের চার ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন ও তিনটিতে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
কুমিল্লার ১৩টি ইউপির আটটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও পাঁচটিতে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। একটি ইউপিতে ফলাফল স্থগিত আছে।
চাঁদপুরের ১৬টি ইউপির ১৩টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও তিনটিতে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। দুটি ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত আছে।
খুলনা বিভাগ
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চারটি ইউপির দুটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
ঝিনাইদহের ১১ ইউপির সাতটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
মাগুরার ১২ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১১ জন ও একটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
যশোরের ১৩ ইউপির ১২টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও একটিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার তিনটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। দুটি ইউপির ফল বন্ধ আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউপির দুটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।