এবার আচরণবিধি লঙ্ঘন সেই নারী সাংসদের
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে গাড়িতে জাতীয় পতাকা বহন করে সমালোচিত হয়েছিলেন মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গার সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সেলিনা আখতার বানু। এবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, উপমন্ত্রী বা তাঁদের সমমর্যাদার কোনো সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়ররা নির্বাচনী প্রচার বা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু এসব আইনকে তোয়াক্কা না করে গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নয়টি ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি।
ইউপি নির্বাচনের কার্যক্রমে ওই সাংসদের উপস্থিতি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানান নির্বাচন অফিস-সংশ্লিষ্টরা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংসদের উপস্থিতির বিষয়টি নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নিয়মনীতি ভঙ্গ করে নিজের গাড়িতে জাতীয় পতাকা বহন করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তোপের মুখে পড়েছিলেন সেলিনা আখতার বানু। পরে অবশ্য জনতার ক্ষোভের মুখে তিনি পতাকা নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা অব্যশই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে। এটা আসলেই দুঃখজনক। উনারাই আইন তৈরি করে, আবার উনারাই আইন ভঙ্গ করে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মীর হাবিবুল বাসার বলেন, ‘গতকাল মহিলা এমপি আমার কাছে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ বিষয়ে অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
হাবিবুল বাসার আরো বলেন, ‘এরা শিক্ষিত মানুষ হয়েও এমন ভুলগুলো কেন করে?’
জানতে চাইলে সাংসদ সেলিনা আখতার বানু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার বিষয়টি জানা ছিল না। জানা থাকলে আমি কখনই যেতাম না।’