সরকার একটি শব্দ বলতেও ব্যর্থ হয়েছে : বন্যা
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। তিনি এ ঘটনার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে রাফিদা আহমেদ বন্যা এ আহ্বান জানান। বন্যা বলেন, ‘তদন্তের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেখানে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে সরকার ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত অভিজিতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে একটি শব্দ পর্যন্ত বলতে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘এতে সাধারণ মানুষের মনে হতাশা জন্মাবে, পাশাপাশি সন্ত্রাসীরা ভাববে তারা অপরাজেয়।’ যোগ করেন বন্যা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অমর একুশের গ্রন্থমেলা থেকে বের হওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত বাংলাদেশি ও মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় রাফিদা আহমেদ বন্যা গুরুতর আহত হন। ঘটনার কয়েক দিন পরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় চলে যান তিনি।
এ ঘটনার পর পরই মার্কিন জাতীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই তদন্ত কাজে সরকারকে সহযোগিতার জন্য ঢাকায় আসে। হত্যার আলামত এফবিআইয়ের গবেষণাগারে নিয়ে যায়। পুলিশ এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় শাফিউর রহমান ফারাবিকে গ্রেপ্তার করেছে, যাকে যথেষ্ট বলে মনে করছেন না বন্যা।
নিজের জন্য সময়টাকে অনেক কঠিন উল্লেখ করে বন্যা বলেন, হামলার পর তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। যে কারণে এখনো তিনি মস্তিষ্কের নানা পীড়ায় ভুগছেন। বেশ কয়েকবার তাঁকে ক্ষতিগ্রস্ত হাত ও বাহুর শিরা এবং ধমনির চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
‘মাঝে মাঝেই আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাই, ঘুমাতেও পারি না। তবে পরিচিতরা অনেক সাহায্য করছে। অনেক মানুষ এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে, এটাই ভরসার একটা বড় জায়গা।’ বলেন বন্যা।