কক্সবাজারে রোয়ানুর আঘাত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কক্সবাজারে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এর প্রভাবে কক্সবাজার উপকূল দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় গাছ-পালা ও কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়া ও শাহপরীর দ্বীপের অনেক অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় সাগরের পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের নুনিয়ার ছড়া এলাকা দিয়ে সাগরের পানি প্রবেশ করে কক্সবাজার বিমানবন্দরের বর্ধিতাংশ প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক জানান, উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি ধরনের ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।কক্সবাজারে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নিচু এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে অন্তত সাড়ে চার হাজার সেচ্ছাসেবক। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মহেশখালী, ধলঘাটা, কুতুবদিয়া, মাতারবাড়ি ও সোনাদিয়া দ্বীপের নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডিসি আরো জানান, জেলার ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উঁচু ভবনগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১০টি মেডিকেল টিম। বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে সব ধরনের নৌযান উপকূলে অবস্থান করছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদে উপকূলীয় অঞ্চল ছেড়ে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।